কারিগরী শিক্ষার গুরুত্ব

কনক স্নাতক পাশ করেছে আজ ২ বছর হতে চলেছে,একটা চাকরি পাবার জন্য সে হন্যে হয়ে এখানে সেখানে দৌরাচ্ছে।মাঝখানে কিছু দিন এমএলএম কোম্পানির পাল্লায় পড়ে কিছু টাকা লসও খেয়েছে। নিজের জীবন নিয়ে খুবই হতাশ সে। মাস শেষে মেসের ভাড়া আর খাবার মিল খরচ কোথা থেকে যোগার হবে সেই টেনশনে তার রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। আগে বাড়ি থেকে কিছু টাকা পাঠাতো। কয়েক মাস যাবত সেই টাকাও বন্ধ হয়ে গেছে। বৃদ্ধ বাবার কাছে আর কত খোজা যায়। ২টা টিউশনি করে সে কোনমতে টিকে আছে।তার সাথের বন্ধুরা কেউ চাকরি পেয়েছে আবার কেউ তার মতন বেকার। মামা চাচার জোর না থাকলে চাকরি নামক সোনার হরিণটি অধরাই থেকে যাবে। গত সপ্তাহে তাদের মেসে আরিফ নামে নতুন একটা ছেলে এসেছে, একটা কন্সট্রাকশন ফার্মে এসিসটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে জয়েন করেছে।বয়েসে তার থেকে বছর চারেক জুনিয়র সে। পলিটেকনিক থেকে ডিপ্লোমা শেষ করার সাথে সাথেই সে চাকরি পেয়ে গেছে। আর সে এখনও বেকার। মেসের চৌকিতে সে শুয়ে শুয়ে আরিফের কথা ভাবতেছে। সেউ যদি আরিফের মতন কারিগরি লাইনে পড়ালেখা করতো তাহলে আজ হয়তো সে বেকার থাকতো না। জেনারেল লাইনে পড়ালেখা না করে আরিফের ...