ঘরে বসে বাড়তি আয়!!
সময়ের প্রেক্ষাপটে মানুষের চিন্তাধারার অনেক পরিবর্তন হয়েছে, একটু আর্থিক সচ্চলতার আশায় মানুষ এখন অফিস করেও ঘরে বসে বাড়তি আয়ের চেষ্টা করে। শুধুমাত্র পুরুষরা নয় অনেক মহিলা আছে ঘড়ে বসে দু'টা টাকা বাড়তি আয়ের জন্য অনেক ধরণের ব্যাবসার দিকে ধুকছে। আজ ঘড়ে বসে কিছু আয়ের টিপস দিব। হয়তো এখান থেকে আপনার ভবিষ্যৎ আয়ের কোন পথ খুলে যেতে পারে।
ক্যাটারিং ব্যাবসা: ঘড়ে বসে আয়ের কথা বললেই সবার আগে আসে অনলাইন আয়ের কথা কিন্তু আমি এটার বিপরীতে কেননা অনলাইন প্লাটফর্ম অনেক বড়। না বুঝে এই সেক্টরে আসলে সফলতা নাও আসতে পারে। মহিলাদের জন্য সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস হতে পারে ক্যাটারিং ব্যাবসা। এটা একটি কমন ব্যাবসা তাই অনেকেই বলবেন এ আর নতুন কী। কিন্তু ব্যাবসা করতে জানলে এখান থেকেও আপনি ভাল ব্যাবসা করতে পারবেন। কোন প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে কোন অফিসের সাথে যদি চুক্তিভুক্ত করে এই ব্যাবসা শুরু করা যায় তবে এই ব্যাবসায় সফলতা অর্জন হবে। একটি প্রতিষ্ঠানে যদি ১০০ জন কর্মচারী থাকেন আর প্রতি জনে যদি ২০ টাকা লাভ থাকে তবে ২০x১oo = ২০০০ প্রতিদিন হিসাবে টাকা লাভ থাকবে। তারমান মাসে ৪ শুক্রবার বাদে ২০০০ X ২৬ = ৫২০০০ টাকা লাভ হবে। মাসে ৫২০০০ টাকা নিশ্চয় কম না। এই লাভ হিসাবে কখনও বাড়তে পারে আবার কমতেও পারে। অনেকের মাসিক বেতনও কিন্তু এত বেশী হয় না, সুতরাং বুকে সাহস নিয়ে এই ব্যাবসায়ে আপনিও নামতে পারেন। এই ব্যাবসায়ের শুরু করার পূর্বে আপনাকে একটু বাজার জরিপ করতে হবে,বাজারের দ্রব্য মূল্যের বাজার দর সম্পকে প্রথমে আইডিয়া নিতে হবে, শুকনা বাজার যেমন পিয়াজ, আলু, রসুন,এই সকল পন্যের দাম কম থাকলে বেশী করে কিনে রেখে দিতে হবে, অথ্যাৎ যখন যেটার দাম কম তা কিনে রাখতে হবে, এতে Costing অনেক কমে যাবে। বাজারের আরো যারা এই ব্যাবসায় সম্পৃক্ত তাদের খাবারের দাম ও মাণ সম্পর্কে অবগত হতে হবে, প্রয়োজনে প্রথম দিকে ব্যাবসা ধরার জন্য একটু কম দাম দিযে order নিতে হবে, পরে আস্তে আস্তে দাম বাড়াতে হবে, এই ব্যাবসা শুরু করার আগে ভাল করে মার্কেটিং করতে হবে, বড় একটি প্রতিষ্ঠানের যদি একটি order book করা যায় তবে ভাগ্যের চাকা ঘুড়ে যাবে। খুচরা কাষ্টমার না খুজে বড় একটি প্রতিষ্ঠানে খাবার সরবরাহ করতে পারলে আর কোন চিন্তা থাকে না, অনেকেই খুচরা কিছু কাষ্টমার কাছে খাবার সেল করে পরবতীতে সেই গ্রাহকরা অন্য কোথাও ট্রান্সফার অথবা চাকরি নিয়ে অন্য কোথাও চলে গেলে order কমে গেলে এই ব্যাবসার হতাশা চলে আসে, অনেকেই অনেক উৎসাহ নিয়ে এই ব্যাবসা শুরু করলেও ব্যাবসায়িক পলিসি বা কৌশল না জানার কারণে শেষ পর্যন্ত টিকতে পারে না, তাই বাজার জরিপ, মার্কেটিং, ব্যবসায়িক কৌশল ইত্যাদি জেনে এই ব্যাবসায়ে নামতে হবে, বাণিজ্যিক এলাকা, শিল্পাঞ্চল,এই সব অঞ্চলে এই ব্যাবসা শুরু করলে লাভবান হবেন।বড় একটা মার্কেটের খাবার সাপ্লাই দিতে পারেন। আমার পরিচিত একজন একটি গ্রুপের খাবার order পেয়ে বেশ ভালই করতেছে। তবে এই ব্যাবসায়ে ভূলেও পার্টনার নিবেন না। আপনি নিজেই একা এই ব্যাবসায় নামবেন।১জন কর্মচারী রাখবেন যে ডেলিভারী দিবেন, বাজারটা আপনি নিজে করবেন। ভূলেও অন্য কাউকে দিয়ে করাবেন না। রান্নার জন্যে একজন assistant রাখবেন। যিনি মাছ তরকারী কাটাকাটি করে দিবে। রান্নার আইটেম বা মেনুতে একটা ভর্তার আইটেম রাখবেন, কেননা এই শহুরে জীবনে নানাবিধ ব্যাস্ততায় অনেকেই এগুলো ঘরে করার সময় পান না। কিন্তু ভর্তা, শুটকী, এগুলো গ্রাহকরা খুব পছন্দ করেন। রান্নার মেনুতে বৈচিত্র্য আনতে হবে। এই ব্যাবসায়ের খরচের ভিতর খাবারের ক্যারিযার যা একবার কিনলেই হয়, সেইসাথে ডেলিভারী খরচ, ২জন কর্মচারীর খরচ আর তার সাথে প্রতিদিনের বাজার খরচ। এগুলে সব মেইনটেইন করতে হবে, পুরুষ বা নারীরা যে কেউ এই ব্যাবসা করতে পারবেন। হয়তো আরও অনেক কিছু আছে যা লিখতে ভুলে গেছি। আজ এই পর্যন্ত আগামীকাল আরও অনেক কিছু নিয়ে হাজির হব।
ধন্যবাদ সবাইকে।
লেখক- জুয়েল মাহামদ।
No comments