২০০৬ এর বিশ্বকাপ ফ্রান্সের সাথে মুখোমুখি ইতালি।অনেকটা বাঘে মহিষে লড়াই চলছে।অতিরিক্ত সময়ের খেলা চলছে। শেষ হাসি কে হাসবে তা অনেকটা ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছে সবাই। ফ্রান্সের হয়ে শেষ বিশ্বকাপ খেলতেছেন জিনেদিন জিদান।জিদান তখন পুরো ফর্মে। খেলোয়ারসুলভ আচরণের জন্য জিদানের খ্যাতি সর্বত্র।অবসর থেকে ফিরে এসে অনেকটা একক কৃতিত্বে ফ্রান্সকে ফাইনাল উঠিয়েছেন। মাঠে জিদান থাকা মানে বিপক্ষে দলের খেলোয়ার
দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করা।পেলে,ম্যারাডোনার কাতারে জিদানের স্থান। অতিরিক্ত সময়ের শেষ সময়ে জিদান হঠাৎ এক কান্ড করে বসলেন।ঢুস করে এক ফাউল করে বসেন ইতালীয় এক ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে। পুরো বিশ্ব হতবাক, কী করে বসলেন জিদান। বল ছারা বিপক্ষ দলের খেলোয়ারকে হঠাৎ মেরে বসলেন।যথারীতি লাল কার্ড খেয়ে বসলেন। খেলার ভাগ্যও ঘুরে গেলো।জিদানকে হারিয়ে ফাইনালে হেরে গেলো ফ্রান্স।জিদানকে উদ্দেশ্য করে কী এমন কথা বলেছিলেন ইতালীয় ডিফেন্ডার মাতোরাজ্জি তা আজো রহস্য। এমন কোন কটু কথা নিশ্চয় বলেছিল যা জিদানের মতন শান্ত মেজাজের খেলোয়ারকে হঠ্যাৎ উত্তেজিত করে ফেলে। আসলে এটা ছিল মাতোরাজ্জির একটি হীন কৌশল। মাতোরাজ্জি চাচ্ছিল জিদান মেজাজ হারিয়ে ফাউল করে লাল কার্ড পেয়ে বিদায় নিক। আর হলও তাই। জিদানের বিদায়ের পর ফ্রান্সের বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়ে গেল। খুব কাছ থেকে দ্বিতীয় বারের মতন বিশ্বকাপ ট্রফি ছুতে না পারার আক্ষেপ জিদানকে নিশ্চয় সারাজীবন পোড়োচ্ছে। এই আক্ষেপ শুধু জিদানের নয়, পুরো বিশ্বের।কেননা যে কূটকৌশল মাতোরাজ্জি করেছিল এতে জিদানের জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়। এই ঘটনায় বিমর্ষ জিদান নিশ্চয় মাতোরাজ্জি তথা পুরো ইতালি দলকেই হয়তো অভিশাপ দিয়েছেন।অভিশাপ দিক আর না দিক কাকতলীয় ভাবে সেই বিশ্বকাপের পর থেকে ইতালীর ফুটবলের মাণ আস্তে আস্তে নিচে নামতে শুরু করেছে। যে দল বিশ্বকাপে আসতো কাপ জয় করতে আর সেই দল আজ বাছাইপর্বই পেরোতে পারে না।৪ বারের বিশ্বকাপ জয়ী দলটি কিনা পরপর দুবার তারা বিশ্বকাপই উঠতে পারে নি।যা ভাবতেই অবাক লাগে। ২০১০ ও ২০১৪ এর বিশ্বকাপে তারা প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয়। ইতালি রক্ষণশীল খেলা খেলতে পছন্দ করে। কাউন্টার এট্যাকে নির্ভর দলটি আজ বিশ্বকাপ আসরে অনুপস্থিত। নতুন প্রজম্মের কাছে ইতালি ফুটবল দলের ফ্যান নাই বললেই চলে।বুফন,রসি কিংবা মালদিনির মতন তারকা ফুটবলার দলে নেই।
mmm
Comments
Post a Comment