শেষ হাসি কে হাসবে, মেসি নাকি এমবাপ্পে?
দেখতে দেখতে শেষ হতে চলেছে বিশ্বকাপ । সব হিসাব নিকাশের পরিসমাপ্তি ঘটতে চলছে আগামী রবিবার। অনেক ঘটন অঘটনের ভিতর সমাপ্তি হতে চলেছে গ্রেটেস্ট শো অন দ্যা আর্থ। জামার্নি, উরুগুয়ে,বেলজিয়ামের মতন বড় দলগুলো প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়ে প্রমাণ করলো বিশ্বকাপ শিরোপা শুধু আর বড় দলগুলার ভিতর সীমাবদ্ধ নয়। এশিয়ান ও আফ্রিকান দেশগুলোও আস্তে আস্তে নিজেদেরকে বড় দল হিসাবে প্রমাণ করতেছে। জাপান,কোরিয়া,মরক্বোর মতন দলগুলো নিজেদেরকে আর মধ্যম সারির দল নয় বরং বড় সারির দল হিসাবে শিরোপার দাবিদার হচ্ছে। পরবর্তী বিশ্বকাপ হয়তো নতুন কোন দলের হাতেও শোভা পেতে পারে। এবার মরক্কো তো শিরোপার অনেক কাছেই চলে এসেছিল। আমরাও চাই এশিয়া বা আফ্রিকা থেকে নতুন কেউ পাক বিশ্বকাপ শিরোপা।
কার হাতে শোভা পাবে শিরোপা তা জানা যাবে আগামী রবিবার। আর্জেন্টিনা নাকি ফ্রান্স কার হাতে শোভা পাবে ট্রফি। প্রথম ম্যাচে সউদি আরবের কাছে পরাজয়ের পর শিরোপা দৌড়ে পিছিয়ে পরা আর্জেন্টাইনরা অনেক সুন্দর ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।অপরদিকে ফ্রান্স প্রথম থেকেই দুর্দান্ত ফর্মে আছে। এক এমবাপ্পে বল নিয়ে যে গতিতে দৌড়াতে পারে তা অকল্পনীয়। করিম বেনজামা,পল পগবা ছাড়াও এবারের ফ্রান্স অনেক বেশি শক্তিশালী। মূলত ফাইনালে আসতে তাদের বেশি বেগ পেতে হয় নি। অনেকটা প্রত্যাশিতভাবে তারা ফাইনালে উঠেছে। কোন ম্যাচেই তাদেরকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় নি। অপরদিকে বাজির দরে কিছুটা পিছিয়ে পরা আর্জেন্টাইনদের ফাইনালে আসাটা ছিল কিছুটা অপ্রত্যাশিত।প্রথম ম্যাচে দূর্বল সউদি আরবের কাছে হার তাদের প্রতিটি ম্যাচই ছিল ডু অর ডাই ম্যাচ। মেসির ম্যাজিক ও দলীয় সমন্বয় ধীরে ধীরে আর্জেন্টিনাকে অনেক পরিণত ও শক্তিশালী করে তুলেছে।
দু দলই মাত্র দুবার বিশ্বকাপ জিতেছে। যেখানে ব্রাজিল পাচঁবার,জার্মানী ও ইতালি চার বার। সুতরাং এটা একটা সুযোগ দু দলের জন্য সংখ্যাটা তিন করার জন্য।
বিশ্বকাপ নিয়ে লিখলাম অথচ ব্রাজিলের কথা বাদ গেলে কী হয়। শিরোপা জয়ের সংখ্যার দিক দিয়ে তারা যেহেতু অনেকটা এগিয়ে তাই তারা হয়তো অন্যদেরকে সুযোগ দিচ্ছে শিরোপা সংখ্যাটা বাড়ানোর জন্য।
Comments
Post a Comment